প্রশ্ন ঃ সিন্ধু সভ্যতার গুরুত্ব আলোচনা করো?
উত্তর ঃ সিন্ধু সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীনত্ব প্রমাণ করে। ৫০০০ বছরের পুরাতন এই সভ্যতার প্রাচীন ইজিপ্ট ও সুমির সভ্যতার সমসাময়িক। সিন্ধু সভ্যতা ছিল নগর সভ্যতা। ভারতীয় হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস সিন্ধু সভ্যতা ধারা প্রবাহিত হইয়াছিল।
প্রশ্ন ঃ সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার পতনের কারণ কি?
উত্তর ঃ সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার পতনের সঠিক কারণ জানা যায় না। অনুমান করা হয় যে বন্যা অথবা শত্রুর আক্রমণে সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার পতন হয়েছিল। এই শত্রুর আক্রমণ আর্য আক্রমণ ও হইতে পারে।
প্রশ্ন ঃ টীকা লেখঃ বৈদিক সাহিত্য।
উত্তর ঃ বৈদিক সাহিত্য হইতে আর্যদের বাসভূমি ধর্ম সমাজ অর্থনৈতিক জীবন ইত্যাদির সন্ধান পাওয়া যায়। বেদ শব্দের অর্থ জ্ঞান। পৃথিবী প্রকৃতি ঈশ্বর সাম্প্রতিক জ্ঞান রাশির কথা ভেবে লেখা হইয়াছে।
বেদ চারটি ঋক সাম যদু এবং অথব। ঋকবেদ সর্বাধিক প্রাচীন। সাম বেদ যজু বেদ প্রধানত ঋকবেদের সূত্রগুলি স্থান লাভ করিয়াছে। অথবো বেদ পরবর্তীকালে রচনা। অথবো বেদে জাদুবিদ্যা ও মন্ত্র তন্ত্রের কথা বলা হইয়াছে। অধোগতি পুরোহিতগন যাদের সময় সামবেদ গান করিতেন। জাদু বেদে জ্ঞান প্রণালী বর্ণিত হইয়াছে।
বৈদিক সাহিত্যের চারটি ভাগ মন্ত্র ব্রাহ্মণ আরণ্যক এবং উপনিষদ। মন্ত্র বৈদিক সাহিত্যের প্রাচীনতম অংশ। ব্রাহ্মণ অংশ প্রধানত গ্রহে রচিত। আরণ্যক আরন্য বাসি মনিদের জন্ম রচিত রচিত। উপনিষদে ব্রম্ভ আত্মা সম্পর্কে আলোচনা করা হইয়া আছে। উপনিষদ গুলি ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি।
প্রশ্নঃ পরবর্তী বৈদিক সাহিত্য বলতে কি বোঝা যায়?
উত্তর ঃ কয়েকটি উপনিষদ বেদাঙ্গ ও বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্র প্রাণীর অষ্টাধ্যায়ী ইত্যাদি গ্রন্থ পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্গত। বেদাঙ্গ 6t শিক্ষা গল্প ব্যাকরণ নিরুক্ত ছন্দ এবং জ্যোতিষ। স্মৃতিশাস্ত্র যুগের প্রয়োজন অনুসারে রচিত হয়েছে। স্মৃতিশাস্ত্র আচার-আচরণ রাজনীতি বৃত্তি ইত্যাদির নিয়মাবলী সহজে মনে রাখার জন্য গ্রন্থে ও পদ্মে হইয়াছে। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী খ্রিস্টপূর্ব 600 হইতে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ মধ্য রচিত হইয়াছিল। অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থের ব্যাকরণ ইতিহাস-ভূগোল কৃষি বৃত্তি আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদি আলোচনা রোহিয়াছে।
প্রশ্ন ঃ নিগন্হ হওয়ার জন্য জৈনদের কি করিতে হয়?
উত্তর ঃ নিদ গ্রন্থ অর্থাৎ গ্রন্থি হীন বা বন্ধনহীন হওয়ার জন্য জৈনদের পাঁচটি ব্রত পালন করতে হয়। এই পাঁচটি বৃত্ত হইল অহিংসা সত্য অচৌয অপরিগ্রহ বিষাক্ত না হওয়া এবং ব্রহ্মচর্য।
প্রশ্ন ঃ বুদ্ধদেবের অষ্টাঙ্গিক মার্গ কি?
উত্তর ঃ দুঃখ নিবারণের জন্য বুদ্ধাদেব অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা আটটি পথ অনুসরণের উপদেশ দিয়েছিলেন। এই আটটি পথ হইল সম্যক দৃষ্টি সম্যক সংকল্প বচন কর্মতা সম্যক আজীব (জীবিকা অর্জনের সুষ্ঠু বৃত্তি) সময় ব্যায়াম (মনে পূর্ণ ভাব আনার জন্য মানসিক ব্যায়াম) সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি।
প্রশ্ন ঃ বৌদ্ধধর্মে উল্লেখিত শিলা কি?
উত্তর ঃ বৌদ্ধধর্মে উল্লেখিত শিলা হইল মঙ্গল লাভের জন্য নৈতিক পথ। অহিংসা অক্রোধ সত্য মৈত্রী করুণা সেবা ইত্যাদি মঙ্গল লাভের উপায়। বৌদ্ধধর্মে চরিত্র গঠনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হইয়াছে এবং চরিত্র গঠনের জন্য শিলিগুড়ি পালনের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ঃ টীকা লেখ ষোড়শ মহাজনপদ?
উত্তর ঃ বৌদ্ধ সাহিত্য অনুসারে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে উত্তর ভারত ষোলটি মহাজনপদের বিভক্তি ছিল। এই মহাজনপদ গুলির হইল অঙ্গ মগর কৌশল কাশি ব্রিজি চেদি মরল বৎস কুরু পঞ্বাল শূরসেন মৎস্য অশ্নক অবন্তী গন্ধার এবং কন্বোজ।
বিম্বিসার এর শাসনকালে পূর্ব ভারতে অবস্থিত মগধ রাজা দক্ষিণ বিহার শক্তিশালী হইয়া উঠে।
প্রশ্ন ঃ টীকা লেখ বিম্বিসার।
উত্তর ঃ আনুমানিক ৫৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিম্বিসার মগধের সিংহাসনে আরোহণ করেন। বিম্বিসার অঙ্গ জয় করেন। বঙ্গের রাজধানী ছিল চম্পা। অঙ্গ জয়ের ফলে মগদের রাজ্যসীমা ব্যধিত হয়। মগধ রাজ্য বর্তমান গয়া ও পাবনা জেলায় অবস্থিত ছিল। বিম্বিসার কৌশল ও বৈশালীর রাজপরিবারে বিবাহ করেন।
কুশাল রাজপরিবারে বিহারে ফলে বিম্বিসার কাশির একটি সমৃদ্ধশালী গ্রাম লাভ করেন। বৈশালী রাজপরিবারে বিহারের ফলে মগধ রাজ্য উত্তরদিকে নেপাল রাজ্যের সীমান্তের কাছে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। বিম্বিসারের রাজধানী ছিল গিরিব্যজ। তিনি গিরি ব্রজের উত্তরে রাজগৃহ রাজগীর নামে একটি নতুন নগর নির্মাণ করেন।
মহাবীর এবং যুদ্ধ উভয়ই বিম্বিসার এর রাজত্বকালে ধর্ম প্রচার করিয়া ছিলেন কথিত আছে বিম্বিসার তার পুত্র অজাতশত্রুর হস্তে নিহত হন।
0 মন্তব্যসমূহ