প্রশ্ন- ভারতীয় জাতি পরিচয় সম্বন্ধে টীকা লেখ?
উত্তর ঃ ভারতের অধিবাসীদের ভাষা এবং দৈনিক বৈশিষ্ট্য বিচারে চারটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
(ক) উত্তর ভারতের দীর্ঘদেহী উন্নত নাশা উজ্জ্বল বর্ণের অধিবাসী। ইহাদের ভাষা সংস্কৃত হইতে উদ্ভূত।
(খ) দক্ষিণ ভারতের তামিল তেলেগু এবং মালয়ালয় অর্থাৎ দারিদ্র ভাষাভাষী অধিবাসীগণ।
(গ) প্রোটো অস্ট্রালয়েড গোষ্ঠীভুক্ত সাঁওতাল শবর হো মুন্ডা প্রভৃতি আদিবাসী গান।
(ঘ) হিমালয় এবং আসামের পার্বত্য অঞ্চলের মঙ্গোলয়েড গোষ্ঠীভুক্ত অধিবাসীগণ। মঙ্গলয়েড দের নাক চ্যাপ্টা ও গায়ের রং পীতাভ।
এই চারটি প্রধান শ্রেণী ব্যতীত গ্রহণ অরণ্যবাসী আদিবাসীদের মধ্যে নেগ্রিটো প্রভাব ও সর্বশ্রেণীর অধিবাসের মধ্য মিশ্রিত প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ঃ সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার আদিবাসীদের জাতি পরিচয় আলোচনা করো?
উত্তর ঃ সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার আদিবাসীদের জাতি পরিচয় সম্বন্ধে ঐতিহাসিকগণ স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হন নাই। অনেক অনুমান করেন যে দ্রাবিড়ণন ছিল এই সভ্যতার স্রষ্ঠা। হিন্দু উপত্যকার নিকটে আজিও দ্রাবিড় ভাষাভাষী ব্রাণ্হইণন বাস করে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন
প্রশ্ন- ভারত ইন্ডিয়া এবং হিন্দুস্তান নামের ঐতিহাসিক পটভূমি আলোচনা করো?
উত্তর- পৌরাণিক রাজা ভারতের নাম হইলো তে ভারত নামের উৎপত্তি হইয়াছে বলিয়া অনুমান করা হয়। বিষ্ণুপুরাণে ভারত নামের উল্লেখ আছে। গ্রীকরা আমাদের দেশকে বলিতো ইণ্ডোস। ইণ্ডোস শব্দ হইতে ইন্ডিয়ানা আসিয়াছে। প্রাচীন পারসিক লিপিতে হিন্দু শব্দের উল্লেখ আছে। পারসিক সিন্ধু নদ এবং সিন্ধু নদীর পূর্ব তীরবর্তী অঞ্চলের অধিবাসীদের হিন্দু উচ্চারণ করি তো। মধ্যযুগে ভারতকে হিন্দু ও হিন্দুস্তান বলিতো।স্বাধীন ভারতের সংবিধানে আমাদের এই প্রাচীন দেশের ভারত এবং ইন্ডিয়া উভয় নামেই উল্লিখিত আছে।
0 মন্তব্যসমূহ