Nervous System and Sense Organs:-
পরিবেশ থেকে আগত বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য প্রাণীদেহে বিশেষ সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রাণী দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে যােগাযােগ ব্যবস্থার জন্যও এই সমন্বয় সাধনের (co-ordination) প্রয়ােজন হয়। প্রাণীদেহে মুখ্যত স্নায়ুতন্ত্রের (nervous system) মাধ্যমেই এই সমন্বয় সাধন ঘটে। বিভিন্ন গ্রাহক বা রিসেপটর (receptors) বিভিন্ন উদ্দীপনা (stimulus) গ্রহণ করে। এই উদ্দীপনা স্নায়ুকোশ (neurone) বা স্নায়ুর (nerves) মাধ্যমে সারা দেহে পরিবাহিত হয়। গ্রাহক থেকে গৃহীত উদ্দীপনা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছেলে সেখান থেকে উদ্দীপনার প্রত্যুত্তর চেষ্টীয় স্নায়ুর মাধ্যমে কারকে অর্থাৎ ইফেকটরে (effector) পৌঁছােয়। তখন কারক উদ্দীপিত হয়, ফলে প্রাণী সাড়া (response) দেয়। বিভিন্ন পেশি ও গ্রন্থি হল প্রাণীদের কারক অঙ্গ।
চোখে উজ্জ্বল আলাে পড়লে আমরা চোখ বন্ধ করি। পায়ে কাঁটা ফুটলে আমরা ব্যথা অনুভব করি এবং পা-টি সঙ্গে সঙ্গে মাটি থেকে সরে যায়। এসবই হল উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া, যা স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে ঘটে। উদ্ভিদদেহে কোনাে স্নায়ুতন্ত্র থাকে না। এরা যে বহিস্য উদ্দীপকের প্রভাবে উত্তেজনায় সাড়া দেয় তা স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে ঘটে না। এটি একরকমের চলন।
পরিবেশ থেকে বিশেষ বিশেষ উদ্দীপনা গ্রহণ করে তাকে সঠিক স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আছে বিভিন্ন জ্ঞানেন্দ্রিয় বা সেনস্ অরগ্যান (sense organ)। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক হল আমাদের পাঁচটি প্রধান জ্ঞানেন্দ্রিয়।
রিসেপটর (Receptor):-
প্রাণীদেহের যেসব সংবেদনশীল কোশ বা আয়ুপ্রান্ত পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে, তাদের রিসেপটর বা গ্রাহক বলে। ত্বকে অবস্থিত প্যাসিনিয়ান কণিকা, মেইজনার কণিকা ; চক্ষুর রেটিনায় অবস্থিত রড ও কোন কোশ, নাসিকায় অবস্থিত অলফ্যাক্টরি কোশ, জিহায় অবস্থিত স্বাদকোরক, কর্ণে অবস্থিত কর্টি যন্ত্র হল বিভিন্ন প্রকারের রিসেপটর।
ইফেকটর (Effector) :-
স্নায়ু-স্পন্দন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়ে যেসব অঙ্গ উত্তেজনায় সাড়া দেয়, তাদের ইফেকটর বা কারক বলে। বিভিন্ন গ্রন্থি ও পেশি হল ইফেকটর।
কনডাক্টর বা বাহক (Conductor):-
যাদের মাধ্যমে রিসেপটর থেকে উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছােয় এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে সাড়া কারকে বা ইফেকটরে পৌঁছােয়, তাদের কুনডাক্টর বা বাহক বলে। যেমন—স্নায়ুকোশ এবং স্নায়ু।
0 মন্তব্যসমূহ