রাম চরিত্র। চালুক্য শিল্প। কৌলিন্য প্রথা আলোচনা করো।

রাম চরিত্র। চালুক্য শিল্প। কৌলিন্য প্রথা আলোচনা করো। 

প্রশ্ন ঃ টীকা লেখ রাম চরিত্র।

উত্তর ঃ রাম চরিত্র পাল যুগের একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। সন্ধ্যাকর নন্দী গ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে কৈবর্ত বিদ্রোহ রামপাল কৃতিত্ব ভীমের পরাজয় বরেন্দ্র জনপদ ও রামপতি নগরীর বর্ণনা ইত্যাদি ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়।


প্রশ্ন ঃ কৌলিন্য প্রথা আলোচনা করো।


উত্তর ঃ কলঞ্জি গ্রন্থে কৌলিন্য প্রথার কথা জানা যায়। ভারেন্দ্র অনুসারে স সেন রাজা বল্লাল সেন কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক ছিলেন। উচ্চ বর্ণের বাঙালি হিন্দুদের মধ্য কৌলিন্য প্রথা চলিত। বল্লাল সেন তৎকালীন হিন্দু সমাজের অবনতি দেখিয়া প্রথা প্রচলন করেছিলেন। কলেন্দের নয়টি গুন থাকা উচিত। এই গুণগুলি হইল আচার বিনয় বিদ্যা প্রতিষ্ঠিত তীর্থ দর্শন নিষ্ঠা ও আবৃতি তপ দান।


প্রশ্ন ঃ টীকা লেখ চালুক্য শিল্প ।


উত্তর ঃ চালুক্য শিল্প উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের শিল্প রীতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল। বিজাপুর জেলার ফটো দখল এবং বাড়িতে চালুক্য যুগের মন্দিরগুলি অবস্থিত। চালুক্য মন্দিরগুলির শিখর এবং বারান্দা উত্তর ভারতের স্থাপত্য রীতি অনুসারে নির্মিত। মন্দির শিখরে দক্ষিণ ভারতীয় বর্তমান এবং মন্দির নির্মাণ কৌশল ও শিল্পকৌশল দৃষ্ট হয়। চালুক্য মন্দিরগুলি আয়তনে বৃহত্তম হলেও মন্দিরের ভাস্কর্য অপূর্ব।


প্রশ্ন ঃ রাষ্ট্রকূট শিল্পরীতি আলোচনা করো।


উত্তর ঃ রাষ্ট্রকূট শাসকগণ শিল্পকির্তীর জন্য বিখ্যাত। রাষ্ট্রকূট রাজনীতিও দুর্গের খুল্লতাত প্রথম কৃষ্ণ এলো বার প্রসিদ্ধ কৈলাস মন্দির নির্মাণ করেন। অষ্টম শতাব্দীর শ্রেষাধে মন্দির নির্মিত হয়। পাহাড় কাঠুরিয়া মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। কৈলাস মন্দিরের শিখর দাবির ভিত্তিতে গঠিত। মন্দিরের পাশে কয়েকটি গুহা খনন করিয়া রাষ্ট্রকূট রাজগণ নির্মাণ করেছিলেন। কক্ষ্য গুলিতে ব্রাহ্মণ্য দেবদেবীর মূর্তি স্থাপিত। নির্মাণ কৈলাস এবং শ্রম শক্তির নিদর্শন রূপে ইলোরার কৈলাস মন্দির অতুলনীয়।।


মুম্বাইয়ের নিকট এলিফ্যান্টা গুহা গুলি ও রাষ্ট্রকূট শিল্প সাধনায় পরিচয় বহন করে। মূল গুহার ভাস্কর্য সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। এখনকার ত্রিমূর্তি বিখ্যাত গুহা গাত্রে পৌরাণিক দৃশ্যাবলী খোদাই করা আছে।


প্রশ্ন ঃ ঢোল শাসন ব্যবস্থা আলোচনা করো।


উত্তর ঃ ঢোল শাসনব্যবস্থা ও পূর্ণ ছিল। শাসন ব্যবস্থায় রাজস্থান ছিল সবার উপরে। রাজা মন্ত্রিসভার পরামর্শ লইয়া রাজ্য শাসন করেছেন অবশ্য মন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ করিতে রাজা বাধ্য ছিলেন না। শাসন ব্যবস্থার মূলে ছিল খুব লম্বা গ্রাম। গ্রাম গুলির সময়ে নাইডু বা জেলা গঠিত হইত। কয়েকটি জেলা লইয়া গঠিত হয়তো মুন্ডু লম্ বা প্রদেশ স্বয়ং শাসিত প্রতিষ্ঠান চোল শাসন ব্যবস্থার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। এই সব প্রতিষ্ঠান সভ্যগণ একটি বছরের জন্য নির্বাচিত হইত। গ্রামে পঞ্চায়েতি শাসন প্রচলিত ছিল। গ্রামের জমি জরিপ করিয়া ফসল উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে জমি ভাগ করা হতো। জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে খাজনা স্থির করা হইত। জমির রাজস্ব ছিল রাজ্যের অর্থ গার এর প্রধান উৎস।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ