বিশ্বের সমকালীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল? নবম শ্রেণি

বিশ্বের সমকালীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল?


বিশ্বের সমকালীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক :-


সিন্ধুসভ্যতা সমকালীন অন্যান্য নদীমাতৃক সভ্যতা, যেমন— মেসােপটেমীয়, মিশরীয়, আসিরীয় ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সঙ্গে সংযােগ গড়ে তুলেছিল। ড. সিরিন রত্নাগার বলেন, হরপ্পার বণিকদের সঙ্গে মেসােপটেমিয়ার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। জলপথে মিশরের সঙ্গে ও স্থলপথে সুমের, বেলুচিস্তান প্রভৃতি স্থানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হরপ্পার। মেসােপটেমিয়ার মানুষ সিন্ধু সভ্যতাকে ‘মেলুহা' বলে ডাকত। সুমেরের শিলমােহর, খােদাই করা পাত্র, দীপাধার ও অন্যান্য জিনিস যেমন হরপ্পায় পাওয়া গেছে, তেমনি আবার হরপ্পার ধূসর বর্ণ কারুকার্যময় মৃৎপাত্র ওইসব স্থানেও পাওয়া গিয়েছে।



ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড বলেন, হরপ্পা ও মহেনজোদারাের শিল্পজাত পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে অবস্থিত বাজারে যেত। অন্যদিকে পারস্য ও আফগানিস্তানের নীল পাথর ও রুপাে, মধ্য এশিয়ার সবুজমণি পাথর, পারস্যের তামা, সুমেরের মূল্যবান ধাতু, দক্ষিণ ভারতের শাঁখের খােল সিন্ধু উপত্যকায় আসত। কোনো কোনাে ঐতিহাসিক মনে করেন, বিশ্বের সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে হরপ্পা সংস্কৃতির যথেষ্ট প্রভাব ছিল। মহেনজোদারাে ও হরপ্পার বণিকরা পশ্চিম এশিয়ার আক্কাদে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।

মন্তব্যঃ-


বলা বাহুল্য নদীমাতৃক সমস্ত সভ্যতার সঙ্গে সিন্ধু সভ্যতার সংযােগ স্থাপিত হয়েছিল। তাই সিন্ধুসভ্যতা প্রাচীন বিশ্বের ইতিহাসে আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করেছে। হুইলার-এর মতমিশর ও সুমেরের প্রত্যক্ষ প্রভাবে হরপ্পা সভ্যতা এত উন্নত।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ