হরপ্পা সভ্যতার বৈশিষ্ট্যসমূহ (Features of Harappan Civilisation):-
ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডাইরেক্টর স্যার জন মার্শাল-এর তত্ত্বাবধানে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার মহেন-জো-দারােতে এবং আর. বি.দয়ারামসাহানি পাঞ্জাবের মন্টেগােমারি জেলাতে খননকার্য চালিয়ে (১৯২১) একউন্নত সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কার করেন। প্রথমে খননকার্য চালিয়ে সাতটি স্তর আবিষ্কৃত হয়।সর্বনিম্ন স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ত্রিশ ফুট গভীরে পাওয়া গেছে। তবে সাম্প্রতিককালে ‘রেডিয়াে কার্বন১৪’এবং ‘ডেনড্রোক্রোনােলজি’ পদ্ধতির সাহায্যে হরপ্পার কালনির্ণয় বা প্রাচীনত্ব নিরপণ অনেক সহজহয়েছে। ডি. পি. অগ্রবাল সময়কালকে ২৩০০-১৭৫০ খ্রিঃ পঃ বলেছেন।
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ-
প্রাচীনত্ব :-
ড. ফ্রাঙ্কফুট বলেন সুপ্ত অবস্থায় এই সভ্যতা প্রায় ৫০০ বছর ছিল। তাই হরপ্পাসভ্যতার আসল বয়ঃসীমা ২,৮০০ + ৫০০ = ৩,৩০০ খ্রিঃ পঃ বলে গণ্য করাই বিজ্ঞানসম্মত। হরপ্পা ও চান-হু-দারাের ইগল ছাপযুক্ত শিলমােহর সুসা নগরীতে মিলেছে। তবে স্যার জন মার্শালের মতে, হরপ্পা সভ্যতার সময়সীমা হল ৩,২৫০ খ্রিঃ পূঃ থেকে ২,৭৫০ খ্রিঃ পূঃ-এর মধ্যে।
বিস্তৃতি :-
হরপ্পা সভ্যতা সিন্ধুর নদী উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। এই নদী উপত্যকাটি লম্বায় প্রায় ১,৩৫০ কি.মি. এবং চওড়ায় ১,০৫০ কি.মি.। সিন্ধু ও তার শাখানদীগুলি,বিশেষত মরুভূমির বুকে হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর পূর্বপ্রান্ত বরাবর হরপ্পা সভ্যতা গড়ে ওঠায়উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বদিকের প্রায় ১২,৯৯,৬০০ বর্গ কি.মি. ত্রিভুজাকৃতির এলাকায় এই সভ্যতাবিস্তৃত হয়েছিল। মূলকেন্দ্র মহেন-জো-দারাে (বা মৃতের স্তুপ) ও হরপ্পার (বা পশুপতির খাদ্য)দূরত্ব ৬৪০ কি.মি.। হরপ্পা সভ্যতা নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। ঐতিহাসিক এ. এল. ব্যাশামের মতে,মধ্যবিত্ত বণিক সম্প্রদায় এই নাগরিক সভ্যতার জন্ম দিয়েছিল।
নির্মাতা :-
হরপ্পা সভ্যতার নির্মাতা কারা, তা নিয়ে ভূতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা একমতে আসতে পারেননি। কেউ বলেন আর্যরা, কারও মতে আলপীয়, মােঙ্গলীয়, ভূমধ্যসাগরীয় ও ককেশীয়রা হরপ্পা সভ্যতার স্রষ্টা হতে পারে। পণ্ডিত মাটিমার হুইলার, গর্ডন চাইল্ড প্রমুখমনে করেন মেসােপটেমিয়া বা সুমেরের নগর নির্মাতারাই হরপ্পা সভ্যতা গড়ে তােলেন।ড. রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন প্রাক্-বৈদিক যুগেরদ্রাবিড়-ভাষী মানুষ হরপ্পার নির্মাতা। শেষােক্ত মতকে অনেকে স্বীকার করেছেন।
নগর পরিকল্পনা :-
নগরকেন্দ্রিক এই হরপ্পা সভ্যতা ইতিহাসের এক বিপন্ন বিস্ময়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষ হরপ্পাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। তাই সিন্ধু সভ্যতাকে‘হরপ্পা সভ্যতা’ বলা হয়। এর চারদিক পরিখা ও প্রাচীর বেষ্টিত ছিল।
রাস্তাঘাটঃ-
হরপ্পা সভ্যতার রাজপথগলি ছিল সােজা, প্রশস্ত এবং পরিচ্ছন্ন মহেন-জো-দারাের প্রধান রাজপথটি ৩৪ ফুট চওড়া। ৩ ফুট থেকে ৩৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রাস্তা আবিষ্কৃত হয়েছে। বাঁকা রাস্তা ছিল না। রাস্তার দুধারে বাঁধানাে ফুটপাথ, ল্যাম্প পােস্টের আলাে ও ডাস্টবিন ছিল। রাস্তা তৈরি করতে চুন, সুরকি জাতীয় জিনিস ও পাথর ব্যবহৃত হত। দুটি বাড়ির মাঝে গলিপথগুলিও এভাবেই তৈরি হত।
বাড়িঘরঃ-
ঘরবাড়ি ছিল দু-ধরনের—সাধারণ মানুষের বাসগৃহ ও অভিজাতদের বাসগৃহ। কোথাও দু-তিন তলার বেশি উঁচু বাড়ি পাওয়া যায়নি। প্রথমদিকে রােদে ও পরে পাঁজার আগুনেপােড়ানাে ইট ব্যবহৃত হয়েছিল। ইটগুলি খুবই পাতলা ও আকারে ছােটো ছিল। ‘গ্রিড পদ্ধতি’তে শহরের বাড়িঘরগুলি তৈরি হত। বাড়িগুলিতে জানালা ও দরজার সংখ্যা খুব কম ছিল। প্রতি বাড়িপ্রাচীরবেষ্টিত ছিল। এছাড়া ছিল নগরদুর্গ বা সিটাডেল, উপাসনাকক্ষ।
স্নানাগার ও শস্যাগারঃ-
মহেন-জো-দারােতে খননকার্য চালিয়ে একটি বিশাল স্নানাগার আবিষ্কৃত হয়েছে। এর বাইরের পরিমাপ ১৮০ ফুট X ১০৮ ফুট। এর ভিতরের পরিমাপহল ৩৯ ফুট লম্বা, ২৩ ফুট চওড়া এবং ৮ ফুট গভীর হরপ্পা নগরীতে ১২টি শস্যাগার যুক্তভাবে তৈরি হয়েছিল। যার আয়তন ৮৩৮:১০২৫ ঘন মিটার। প্রধান শস্যাগারটির আয়তন ১৫০ X ২০০ বর্গফুট। ইহা উঁচু একটি মঞ্চের উপর অবস্থিত ছিল। ঐতিহাসিক এ. এল. ব্যাশাম একে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
পয়ঃপ্রণালীঃ-
হরপ্পা সভ্যতার পয়ঃপ্রণালী ছিল খুবই উন্নত। কালিবঙ্গনের প্রতিটি বাড়িতে ছিল একটি কুয়াে বানওয়ালিতে পাওয়া গেছে ঢাকনা দেওয়া ‘ম্যাহােল’। বাড়ির জল এসে পড়ত নর্দমায়। নর্দমাগুলি ইট বা পাথরের ঢাকনা দিয়ে ঢাকা রাখা হত। এ. এল. ব্যাশাম বলেছেন, রােমানরা ছাড়া পৃথিবীর আর কোনাে সভ্যতার এত এ উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা ছিল না।
সামাজিক জীবন :-
প্রথমত, ‘সিন্ধুসভ্যতার পয়ঃপ্রণালীর নিদর্শন সমাজে তিন শ্রেণির মানুষ ছিল(ক) শাসকশ্রেণি,
(খ) ব্যবসায়ী ও কারিগর শ্রেণি এবং(গ) শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ। সিন্ধুর সমাজ রক্ষণশীল হলেও কেউ কাউকে বঞ্চিত করেনি সেদিক থেকে সাম্যবাদের ধারণা সম্পর্কে তাদের যে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তা সহজেই অনুমেয়।
দ্বিতীয়ত, সিন্ধুর অধিবাসীরা নিরামিষ ও আমিষ উভয় প্রকার খাদ্য গ্রহণ করত।গম ও যব তাদের প্রধান খাদ্যশস্য হলেও খেজুর, বার্লি, চাল,নানাপ্রকার শাকসবজি, ফলমূল, ঘি-দুধ ইত্যাদিকে তারা খাদ্যতালিকায় স্থান দিয়েছিল।
তৃতীয়ত, সাধারণত সুতি ও পশমের বস্ত্রের ব্যাপক প্রচলন ছিল। নিম্নাঙ্গ ও ঊর্ধ্বাঙ্গ
ঢাকার জন্য তারা দু-খণ্ড বস্ত্র পরিধান করত। নারী-পুরুষ উভয়েই মাথায় লম্বা চুল রাখত। তবে মেয়েরা সুসজ্জিত কবরীবন্ধন করে আধুনিককালের মতাে মাথার কাটা ব্যবহার করত। তাছাড়া চোখে কাজল ব্যবহারও এই যুগের মেয়েদের অজানা ছিল না।
অর্থনৈতিক জীবন :-
প্রথমত, ড. ডি. ডি. কোশাম্বীর মতে, এই অঞ্চলের কৃষকরা তখন লাঙলের ব্যবহার জানত না। নদীতে জল সঞ্চিত থাকলেও সেচের দ্বারা কৃষির প্রয়ােজন মেটানাের সুযােগ ছিল না।তথাপি খাদ্যশস্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হত। বিভিন্ন কৃষিপণ্যের মধ্যে গম, যব, বার্লি, রাই, তিল, তুলা, সরিষা, শাকসবজি, ধান ইত্যাদি হল প্রধান।
দ্বিতীয়ত, কৃষির ন্যায় পশুপালনও বহু মানুষের জীবিকা ছিল। খাদ্যের প্রয়ােজনে পালিত পশুর মধ্যে গােরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি ছিল। পরিবহনের জন্য পােষ মানানাে হয়েছিল গাধা, উট, হাতি, ষাঁড়, বলদ ইত্যাদি পশু।
তৃতীয়ত, হরপ্পা সভ্যতার আর্থিক সমৃদ্ধির আর একটি দিক হল ব্যাবসা-বাণিজ্য। ব্যাবসাবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু সমৃদ্ধ বণিক। জলপথ ও স্থলপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দুই-ই চলত। ভারতের প্রাচীনতম বন্দর লােথালের সঙ্গে বহির্বিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্য চলত। মুদ্রার অভাবে মূলত পণ্যবিনিময়ের দ্বারাই বাণিজ্য হত।
ধর্মীয় জীবন :-
প্রথমত, মাতৃরূপিণী শক্তিপূজা, ধরিত্রীপূজা, লিঙ্গপূজা, যােগীরাজ পশুপতি শিবের পূজা ধর্মজীবনের অঙ্গ ছিল স্যার জন মার্শাল এই পশুপতি শিবকে ‘আদি শিব’ (Proto-Shiva') বলেছেন।
দ্বিতীয়ত, এছাড়া ষাঁড়, হস্তী, হরিণ, মহিষ, গন্ডার, বাঘ ও সাপকে পুজো করা হত।
তৃতীয়ত, একইভাবে পিপ্পলি বৃক্ষ (বটগাছ), আগুন ও নদীকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হত।
চিতুর্থত, সিন্ধুর মানুষ সূর্যপূজার প্রতীকরূপে ‘স্বস্তিক চিহ্ন’ ব্যবহার করত।
পঞ্চমত, সৎকারের জন্য তারা চার ধরনের প্রথা অনুসরণ করেছিল—
(i) মৃতদেহের অংশবিশেষের সমাধি,
(ii) পূর্ণ সমাধি,
(iii) দাহকার্য শেষে দগ্ধ মৃতদেহের অংশবিশেষের সমাধি এবং
(iv) শবদাহ।
ষষ্ঠত, হরপ্পার জীবনযাত্রায় ধর্মের গুরুত্ব স্বীকার করে ব্যাশাম বলেছেন, মেসােপটেমিয়া ওমিশরের মতাে হরপ্পার সংস্কৃতি ধর্মকে ভিত্তি করেই বিকশিত হয়েছে। রাজাদের ধর্মীয় অনুশাসননীতি সে কথাই প্রমাণ করে। তবে হরপ্পার সামগ্রিক জীবনের উপর ধর্মের গুরুত্ব যে অভূতপূর্ব,তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রাচীনত্ব :-
ড. ফ্রাঙ্কফুট বলেন সুপ্ত অবস্থায় এই সভ্যতা প্রায় ৫০০ বছর ছিল। তাই হরপ্পাসভ্যতার আসল বয়ঃসীমা ২,৮০০ + ৫০০ = ৩,৩০০ খ্রিঃ পঃ বলে গণ্য করাই বিজ্ঞানসম্মত। হরপ্পা ও চান-হু-দারাের ইগল ছাপযুক্ত শিলমােহর সুসা নগরীতে মিলেছে। তবে স্যার জন মার্শালের মতে, হরপ্পা সভ্যতার সময়সীমা হল ৩,২৫০ খ্রিঃ পূঃ থেকে ২,৭৫০ খ্রিঃ পূঃ-এর মধ্যে।
বিস্তৃতি :-
হরপ্পা সভ্যতা সিন্ধুর নদী উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। এই নদী উপত্যকাটি লম্বায় প্রায় ১,৩৫০ কি.মি. এবং চওড়ায় ১,০৫০ কি.মি.। সিন্ধু ও তার শাখানদীগুলি,বিশেষত মরুভূমির বুকে হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর পূর্বপ্রান্ত বরাবর হরপ্পা সভ্যতা গড়ে ওঠায়উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বদিকের প্রায় ১২,৯৯,৬০০ বর্গ কি.মি. ত্রিভুজাকৃতির এলাকায় এই সভ্যতাবিস্তৃত হয়েছিল। মূলকেন্দ্র মহেন-জো-দারাে (বা মৃতের স্তুপ) ও হরপ্পার (বা পশুপতির খাদ্য)দূরত্ব ৬৪০ কি.মি.। হরপ্পা সভ্যতা নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। ঐতিহাসিক এ. এল. ব্যাশামের মতে,মধ্যবিত্ত বণিক সম্প্রদায় এই নাগরিক সভ্যতার জন্ম দিয়েছিল।
নির্মাতা :-
হরপ্পা সভ্যতার নির্মাতা কারা, তা নিয়ে ভূতাত্ত্বিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা একমতে আসতে পারেননি। কেউ বলেন আর্যরা, কারও মতে আলপীয়, মােঙ্গলীয়, ভূমধ্যসাগরীয় ও ককেশীয়রা হরপ্পা সভ্যতার স্রষ্টা হতে পারে। পণ্ডিত মাটিমার হুইলার, গর্ডন চাইল্ড প্রমুখমনে করেন মেসােপটেমিয়া বা সুমেরের নগর নির্মাতারাই হরপ্পা সভ্যতা গড়ে তােলেন।ড. রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন প্রাক্-বৈদিক যুগেরদ্রাবিড়-ভাষী মানুষ হরপ্পার নির্মাতা। শেষােক্ত মতকে অনেকে স্বীকার করেছেন।নগর পরিকল্পনা :-
নগরকেন্দ্রিক এই হরপ্পা সভ্যতা ইতিহাসের এক বিপন্ন বিস্ময়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষ হরপ্পাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। তাই সিন্ধু সভ্যতাকে‘হরপ্পা সভ্যতা’ বলা হয়। এর চারদিক পরিখা ও প্রাচীর বেষ্টিত ছিল।
রাস্তাঘাটঃ-
হরপ্পা সভ্যতার রাজপথগলি ছিল সােজা, প্রশস্ত এবং পরিচ্ছন্ন মহেন-জো-দারাের প্রধান রাজপথটি ৩৪ ফুট চওড়া। ৩ ফুট থেকে ৩৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রাস্তা আবিষ্কৃত হয়েছে। বাঁকা রাস্তা ছিল না। রাস্তার দুধারে বাঁধানাে ফুটপাথ, ল্যাম্প পােস্টের আলাে ও ডাস্টবিন ছিল। রাস্তা তৈরি করতে চুন, সুরকি জাতীয় জিনিস ও পাথর ব্যবহৃত হত। দুটি বাড়ির মাঝে গলিপথগুলিও এভাবেই তৈরি হত।
বাড়িঘরঃ-
ঘরবাড়ি ছিল দু-ধরনের—সাধারণ মানুষের বাসগৃহ ও অভিজাতদের বাসগৃহ। কোথাও দু-তিন তলার বেশি উঁচু বাড়ি পাওয়া যায়নি। প্রথমদিকে রােদে ও পরে পাঁজার আগুনেপােড়ানাে ইট ব্যবহৃত হয়েছিল। ইটগুলি খুবই পাতলা ও আকারে ছােটো ছিল। ‘গ্রিড পদ্ধতি’তে শহরের বাড়িঘরগুলি তৈরি হত। বাড়িগুলিতে জানালা ও দরজার সংখ্যা খুব কম ছিল। প্রতি বাড়িপ্রাচীরবেষ্টিত ছিল। এছাড়া ছিল নগরদুর্গ বা সিটাডেল, উপাসনাকক্ষ।
0 মন্তব্যসমূহ