যাসসা। বাবর এর সাহিত্য চর্চা সম্বন্ধে কি জানো? কিভাবে বাবর ভারতে রাজ্য বিস্তার করেন?

যাসসা। বাবর এর সাহিত্য চর্চা সম্বন্ধে কি জানো? কিভাবে বাবর ভারতে রাজ্য বিস্তার করেন?

প্রশ্ন ঃ টীকা লেখ যাসসা। 


উত্তর ঃ চেঙ্গিস খান কতের কতৃক প্রবর্তিত মোঙ্গলদের আচরণবিধি যাসসা নামে পরিচিত। চেঙ্গিস খানের সময় মোঙ্গলগন বৌদ্ধ ছিল। পরবর্তীকালে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও ভারতে মোগল শাসন সর্বদা বা সম্পূর্ণভাবে ইসলামের কোরআন ও অন্যান্য ধর্ম শাস্ত্র অনুসারে পরিচালিত হতো না। মোগল শাসকগণ যাসসা অনুসারে দেশ শাসন করতেন। যাসসার কয়েকটি নিয়ম হইল-১ মঙ্গল কথিত রোগের অশিক্ষিত ও রাজা জাতির সঙ্গে সন্ধি নিষিদ্ধ। ২ তালিকাভুক্ত উচ্চপদস্থ একটি বিশেষ সুযোগ-সুবিধা অধিকারী। ৩ মঙ্গলগঞ্জ পৃথিবীতে কি প্রভাব অস্তিত্বে বিশ্বাস ইত্যাদি।


প্রশ্ন ঃ বাবর এর সাহিত্য চর্চা সম্বন্ধে কি জানো?


উত্তর ঃ বাবর কতৃক রচয়িতা সাহিত্যে তুর্কি এবং পরশি ভাষার সম্পদ। বাবর তুর্কি ভাষায় তুজুক আত্মজীবনী রচনা করেন। বাবর এর আত্মজীবনী সমকালীন ইতিহাস জানার অমূল্য সম্পদ। বাবর কতৃক রচিত দিওয়ান কবিতা আজও জনপ্রিয়। পারসিক ভাষাতেও বাবর সুন্দর সাহিত্য সৃষ্টি করিয়া ছিলেন।


প্রশ্ন ঃ কিভাবে বাবর ভারতে রাজ্য বিস্তার করেন?


উত্তর ঃ কাবুল হইতে বিহার পর্যন্ত বাবর এর রাজত্ব বিস্তৃত ছিল। পানিপথ খানুয়া এবং ঘরঘোরা প্রধানত এই তিনটি যুদ্ধ দাঁড়ায় বাবর উত্তর ভারতে তাহার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 1526 খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত ও নিহত করিয়া বাবর দিল্লি এবং আগ্রা অধিকার করেন 1527 খ্রিস্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধে বাবর মোবাইলের রানা সংগ্রাম হিংসা কে পরাজিত করেন। সংগ্রাম হিংসার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাবরের জীবনে প্রথম কাফের ও বিধর্মীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বাবর ওই যুদ্ধকে জিহাদ বা ধর্মযুদ্ধ রূপে ঘোষণা করিয়াছিলেন খানুয়ার যুদ্ধে বাবরের গোলন্দাজ বাহিনী কামান ব্যবহার করেন। যুদ্ধের কামানের ব্যবহার ব্যবহারের জয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। 15 29 খ্রিষ্টাব্দে ঘর ঘরার যুদ্ধে বাবর বিহারে অজ্ঞান সরদারের পরাজিত করেন। বাংলার সুলতান নসরৎ শাহের সঙ্গে বাবর সন্ধিস্থাপন করেছিলেন।


প্রশ্ন ঃ শেরশাহের রাজত্বকাল ও শাসন সংস্কার আলোচনা করো।


উত্তর ঃ রাজস্ব সংস্কার এবং শাসন সংস্কারের জন্য শেরশাহের রাজত্বকাল ইতিহাসে বিখ্যাত। রাজ্যের সমস্ত জমি যথাযথভাবে জরিপ করিয়া শেরশাহ প্রজাদের শাহেদ সরাসরি জমির বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। উৎপন্ন ফসলের এক-তৃতীয়াংশ বা এক-চতুর্থাংশ খাজনা দিতে হতো। খাজনা ফসল অথবা মুদ্রায় দেয়া হতো। শেরশাহ রাজস্ব বিভাগের রাজকর্মচারীদের প্রজাতির দেয় খাজনা নির্ধারণ উদার নীতি অনুসারে এবং খাজনা আদায়ের জন্য কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কবুলিয়াত ও পাঠা দ্বারা প্রজাদের ভূমির অধিকার স্বীকৃত হইয়াছিল। খরা দুর্ভাগ্যবশত শিবির স্থাপনের ফলে ফসলের ক্ষতি হলে খাজনা মওকুফ করা হইত। আমিন সিকদার কানুনগো পাটোয়ারী প্রভৃতি পদাধিকারী ব্যক্তিগণ খাজনা আদায়ের কাজে নিযুক্ত থাকেন। শেরশাহের রাজনীতি পরবর্তীকালেও আদর্শরূপে গৃহীত হয়েছিল এই প্রচলিত ছিল শেরশাহ কেন্দ্রীয় শাসন ও প্রাদেশিক শাসন এর সংস্করণ করেন। তিনি টংকা বা টাকা নামে রুপা মুদ্রা প্রচলন করেন। রুপার টাকা রুপাইয়া নামো প্রচলিত ছিল। মুদ্রা আতঙ্ক টাকা ও রুপাইয়া নাম ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের আজও প্রচলিত। শেরশাহ নির্মিত সড়ক ই আজম বর্তমানে গ্রাণ্ত ট্রাঙ্ক রোড নামে প্রচলিত একটি বিখ্যাত পথ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ